M7 TWS review Bangla
ব্যাকগ্রাউন্ডঃ কোন এক কারনে আলি এক্সপ্রেসে ঘুরাঘুরি করছিলাম, তখনি নজর পরে এই জিনিসের প্রতি, আকর্ষনের মুল কারন ছিল এর নামের পাশে Monster Battery লিখা থাকার কারনে। সাধারনত আমি তারযুক্ত ইয়ারফোন পছন্দ করি, ব্লুটুথে চার্জিং ঝামেলার কারনে এড়িয়ে যাই কিন্তু 3600mah বক্স ব্যাটারি, ২৮০ ঘন্টা টক টাইম দেখে মনে ধরে গেল। ইতিপুর্বে আলি ভাই থেকে ফোন আনতে যেয়ে পোস্ট অফিসে ২৫০০ টাকা গুনতে হয়েছিল বিধায় এবার আর অর্ডার করলাম না, ভাবলাম দেশীয় বাজার থেকে ব্যবস্থা করে নেই। দোড় মারলাম দারাজে, পেয়েও গেলাম, দামও হাতের নাগালে কিন্তু আমি ত ব্যাচেলর পয়েন্টের শুভ, অর্থ্যাত ডিসকাউন্ট ফ্যামিলির ছেলে তাই উইশলিস্ট করে রাখলাম। অবশেষে ৮ দিন পর ক্লিয়ারেন্স সেলে পেয়ে গেলাম প্রায় তৎকালীন অর্ধেক দামে।
ব্যাটারিঃ যেহেতু ব্যাটারি দেখে সুন্দরির পিছু নিয়েছি তাই শুরুতেই এই সেকশন নিয়ে বলি। কম্পানির দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাডসের ব্যাটারি 50mah এবং বক্সের 3600mah, ৩০ মিনিটে ইয়ারবাডস চার্জ হবে এবং ৪০ বার রিচার্জ করা যাবে। বক্সের সাথে একটি ইউএসবি পোর্ট দেয়া আছে যার মাধ্যমে প্রয়োজনে মোবাইল চার্জ দেয়া যাবে। প্রোডাক্ট হাতে পেয়েছি আজ প্রায় ১৪ দিন, এর মাঝে বক্স শুধুমাত্র একবারই চার্জ দিয়েছিলাম, রিসিভ করার দিন। ইয়ারবাডস বিভিন্ন সময়ে মোট ৮-১০ বার চার্জ দেয়া পরেছে এবং এখনো ৫০% চার্জ আছে দেখাচ্ছে। কম্পানির দেয়া তথ্য অনুযায়ী আমি ৪০ বার রিচার্জ করতে পারার কথা তবে আমার মনে হচ্ছে ১৫ বারের বেশি করতে পারবনা, তবে আমার কাছে ১৫ বারই অনেক বেশি কারন আমি বাহিরে না গেলে তেমন একটা ব্যবহার করিনা।
সাউন্ডঃ সাউন্ড কোয়ালিটি আমার কাছে সম্পুর্ন ডিসেন্ট মনে হয়েছে, আমি টানা ২ ঘন্টা মিউজিক শুনার পরেও কোন ধরনের চাপ অনুভব করিনি। একই দিনে আমার ফ্রেন্ড এমআই ইয়ারবাডস কিনে এবং আমরা ২টাকে কম্পেয়ার করি। আমাদের দুজনের কাছেই এম৭ এর সাউন্ড বেশি ভাল লেগেছে।
কানেক্টিভিটিঃ প্রথমবার ফোনের সাথে কানেক্ট হতে ১ মিনিটের মত সময় নেয়, তার পর থেকে সর্বোচ্চ ১০ সেকেন্ড। দুইকানের মিউজিক প্লেতেও কখনো সমস্যা পাইনি, সবসময় এক্যুরেট পেয়েছি।
বিল্ড কোয়ালিটিঃ 3600mah হবার কারনে বক্স একটু বড় এবং ভারী যা খুবই স্বাভাবিক। বক্সের উপরের কভারে খুবই পাতলা প্লাস্টিক ব্যবহার করেছে এবং ম্যাগনেট নেই, ম্যাগনেট থাকলে আরও ভাল লাগত। ইয়ারবাডস গুলো দেখতে সুন্দর তবে সাইজ আরেকটু ছোট হলে ভাল হত। যাদের কানের আয়তন ছোট, তাদের কানে এডজাস্ট হতে প্রব্লেম হতে পারে (আমার এক ফ্রেন্ড কানে লাগাতে চেয়ে পারেনি)। কম্পানির ভাষ্য অনুযায়ী এটা ওয়াটারপ্রুফ এবং একই সাথে ডাস্টপ্রুফ, এই বিষয়টা চেক করা হয়নি, চেক করতে গিয়ে যদি কিছু হয়, লস ত আমারই।
প্রাইসঃ বর্তমানে দারাজে ১৫০০-১৬০০ টাকার মাঝে পাওয়া যাচ্ছে। আমি যেই শপ থেকে নিয়েছিলাম তাদের কাছে হয়ত স্টক আউট বিধায় অফ করে রেখেছে।
অভিজ্ঞতাঃ এতক্ষনে হয়ত বুঝেই গেছেন প্রডাক্টি আমার কাছে ভালই লেগেছে, যদিও ব্যাটারি আমার জন্যে যা পাচ্ছি তাই বেশি তবে কম্পানির তথ্য অনুযায়ী সেটা অর্ধেকের মত, আপাতত এই একটা নেগেটিভ সাইড আমার সামনে আছে। এই জিনিসটা আমার মত কেউ সেক্রিফাইস করতে পারলে এই প্রডাক্ট রিকোমেন্ড থাকবে।
বিঃদ্রঃ উপরের রিভিউটি গত ১৪ দিন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে লিখা হয়েছে। তবে আমি মনে করি একটা গেজেটের সমস্যাগুলো বের হয়ে আসতে ১.৫ থেকে ২ মাস সময় লাগে তাই নেগেটিভ কিছু চোখে পরেনা, সামনে যদি পাই তাহলে কপাল খারাপ, সমস্যা না পেলে এই দামে এইটাই বেস্ট চয়েজ।